-
জনপ্রতিনিধি
- সংসদ সদস্য
-
জেলা পরিষদ
- চেয়ারম্যান
- জেলার সাংবাদিক
- চাকরীর খবর
- প্রিয় মুখ
- রাশিফল
Jun 10, 2019 রাকিব উদ্দিন আলোচিত নেত্রকোনা, দর্শনীয় স্থান, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা, মদন, সারাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোনা: পাহাড়, নদী, হাওরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোকে ঘিরে নেত্রকোনায় রয়েছে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা। শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেই এ এলাকা হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটনীয় জেলা। তবে ইতোমধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করায় উৎসবকে কেন্দ্র করে হাওরে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েকগুন। ঈদ উপলক্ষে নেত্রকোনার হাওরঞ্চলে পর্যটকের ঢল
ঈদ উপলক্ষে বর্ষার স্বচ্ছ জলরাশি দেখতে পর্যটকরা ভিড় করছেন জেলার হাওরাঞ্চলগুলোতে। শেষ বিকেলে পানির ঢেউ তার ওপর সূর্যের আলো মন ভোলাবে যে কারও। পুলিশী নিরাপত্তা ও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনীয় অবকাটামোসহ থাকার ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবী জানাচ্ছে পর্যটন স¤া¢বনাময় এই এলাকায় আগত পর্যটকরা।
নেত্রকোনা জেলার মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হাওরাঞ্চল। তবে মদন উপজেলার উচিতপুর এলাকায় বালই ব্রীজ যার দুই প্রান্তে রয়েছে প্রায় দু-কিলোমিটার ডুবন্ত সড়কপথ যেখানে ভোরের সূর্য উদয় এবং শেষ বিকেলের সূর্যের আলো মন ভোলাবে যে কারও। কক্সবাজারের অতল সমুদ্রের ঢেউ না থাকলেও বাতাসের ছোট ছোট ঢেউ নৌকা দুলানোর স্বাদ পেতে প্রতিদিনই অসংখ্য দর্শনার্থী ভিড় করছেন এখানে। বিশেষ করে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সকল শেণী পেশার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ঘুরে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
জেলার মদন মোহনগ্ঞ্জ খালিয়াজুরী এই তিন উপজেলার গ্রামের হাওরদ্বীপ এলাকায় বর্ষাকালে নৌকা ছাড়া বিচ্ছিন্ন থাকে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। সেই হাওরাঞ্চলে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলেও নেই থাকা খাওয়ার হোটেল মোটেলে তেমন সুবিধা। তাই অনেকটা কষ্ট করতে হচ্ছে ঘুরতে আসা পর্যটকদের।
তবে সম্প্রতি হাওর পাড়ে তাসিন ফুডপার্ক নামে একটি প্রতিষ্ঠান এখানে আসা পর্যটকদের খাদ্যের চাহিদা কিছুটা হলেও মিটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্টানের কর্ণধার আসাদুজ্জামান রাহি জানান,আমাদের হাওর এলাকা দেখতে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার লোক আনাগোনা করে আমি ১ থেকে দেড় হাজার লোকের খাবার তৈরী করতে পারি। এখানে আরো কয়েকটা খাবারের দোকান হলে পর্যটকদের খাবার নিয়ে আর সমস্যা থাকতো না।
স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে বেড়াতে আসা চাকুরিজীবি মাহমুদুল ইসলাম জানান,এখানে এত এত লোকজন আসে অথচ এখানে নেই কোন রেষ্টরুম,নেই খাবার পানি,ওয়াসরুম,নেই বসার যায়গা আর খাবারের ভাল তেমন কোন হোটেল। সারাদিন ঘুরে ফিরে শেষে আনন্দটাই মাটি হওয়ার উপক্রম হয়।
ময়মনসিংহ থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে আসা স্কুল শিক্ষক আবুল কালাম বলেন,আমরা স্বল্প আয়ের চাকুরী করে কক্সবাজার যাওয়ার সামর্থ নেই। ঈদের ছুটিতে এখানে এসে ভালই কাটালাম মনে হলো মিনি সমুদ্র সৈকত।
মদনের উচিতপুর এলাকার বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন,আমরা এই হাওর এলাকার মানুষ হিসেবে আনন্দিত প্রতিদিন ঢাকা,ময়মনসিংহ,কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সব বয়সের লোকজন বিনোদনের জন্য এখানে আসে। সারাদিন তারা নৌকায় চড়ে বেড়ায়,হেটে বেড়ায় ডুবন্ত রাস্থায়,শিশুসহ অনেকে গোসল করতে হাওরের পানিতে নামে। মাঝে মাঝে প্রচন্ড বাতাসে বড় বড় ঢেউয়ের সৃষ্টি হয় আতংকিত হয় পর্যটকরা আতংকিত হই আমরাও। কারন এখানে নেই কোন নৌ নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেখানে আশ্রয় নিবে তারা।
জেলার মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়ালীউল হাসান বলেন,হাওরাঞ্চলকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় কাজ করছেন তারা। মদনের গবিন্দশ্রী এলাকায় দৃষ্টি নন্দন বালই সেতু এবং দুদিকে ডুবো রাস্তা নির্মিত হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক এখানে ভিড় করছে। গত বছরই প্রয়োজনীয় যাত্রী ছাউনির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। পানিয় জলের ব্যবস্থা করাসহ আগামীতে স্থায়ী অবকাটামো নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। পরের বছর থেকে আর এ অসুবিধাগুলো থাকবেনা বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হলেই নেত্রকোনাও হয়ে উঠবে দেশের অন্যতম পর্যটনীয় জেলা এমনটাই আশা আগত পর্যটক ও এলাবাসীর।
Apr 06, 2020 ০
Apr 06, 2020 ০
Apr 06, 2020 ০
Apr 06, 2020 ০
Apr 06, 2020 ০
নেত্রকোনার পূর্বধলায় করোনার লক্ষণ নিয়ে এক গৃহিনীর...
Apr 05, 2020 ০
নেত্রকোনার শহর জুড়ে পুলিশের সচেতনামূলক মহড়া
Apr 04, 2020 ০
Apr 06, 2020
Apr 06, 2020
Apr 06, 2020
Apr 05, 2020
Apr 05, 2020
May 19, 2018
May 08, 2018
Nov 25, 2018
Jul 10, 2018
Jul 06, 2018
Jul 29, 2018