-
জনপ্রতিনিধি
- সংসদ সদস্য
-
জেলা পরিষদ
- চেয়ারম্যান
- জেলার সাংবাদিক
- চাকরীর খবর
- প্রিয় মুখ
- রাশিফল
অক্টো ০৬, ২০১৯ Mainuddin Royal আইন ও অপরাধ, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ
মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েলঃনেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নে পটুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সখিনা খাতুন ।সখিনা খাতুনের স্বামীর নাম ইছব আলী।রয়েছে তার দুই ছেলে। অভাব অনটনের মাঝে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও জমি নিয়ে এক প্রভাবশালীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় পরিবারটি আবার বিপত্তির মুখে পড়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কয়েক বছর আগে ওই মহিলা একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কাছ থেকে ৬শতক ভুমি ক্রয় করেন।
ক্রয়কৃত ভুমিতে সখিনা খাতুন বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিলে আব্দুর রাজ্জাকের চাচা মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া ও তার ভাই সুরুজ মিয়া এতে বাধা প্রদান করেন।
এ নিয়ে সম্প্রতি সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদে গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশ ডাকা হয়। সালিশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম।
এতে অন্য কয়েক ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
গ্রাম্য সালিশে বিরোধপূর্ণ জায়গার ১০লাখ টাকা মূল্য ধার্য করা হয়।
ওই টাকার বিনিময়ে ওই নারী তার জায়গা সুরুজ মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সিদ্ধান্ত হলেও দলিলে জায়গার মূল্য ১৫লাখ টাকা নিধার্রন থাকায় সখিনা খাতুন আর টাকা নেননি।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া গংরা ওই জায়গা বেদখল দিয়ে রাখেন।
জায়গা বেদখলে থাকায় সখিনা খাতুন বাড়ি করতে পারছেন না। পরে তিনি জায়গা উদ্ধারে আদালতে মামলা করেন।
সখিনা খাতুন শনিবার (৫ অক্টোবর) জানান, অনেক কষ্টে অর্জিত টাকায় এ জায়গা খরিদ করেও জায়গাটি বেদখলে রয়েছে। আমার জায়গা অন্যায়ভাবে চাঁন মিয়া গংরা বেদখল দিয়ে রেখেছেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রাম্য সালিশে ১৫লাখ টাকায় কেনা জায়গা ১০লাখ টাকা নিধার্রন করায় আমি তা মানতে পারিনি।
আমি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সংশ্লিষ্টদের কাছে এর ন্যায় বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে একই ইউনিয়নে পটুয়াপাড়া গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া ও তার ভাই সুরুজ মিয়া সাংবাদিকদের জানান,সখিনা খাতুন নামে মহিলার বাড়ি বেদখলের বিষয়টি সম্পুর্ণ কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।
মুলত ওই মহিলা যেখানে জায়গা দাবি করছে সেখানে তার নামে কোন জমি নেই।
মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়া ও তার ভাই সুরুজ মিয়া অারো জানান,উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হয়। সালিশে বিষয়টি মীমাংসার লক্ষ্যে ওই জমি ১০লাখ টাকা মূল্য ধার্য্য করে রায় দিলে রায় মেনে নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের কাছে টাকা জমা রাখি কিন্তু ওই নারী তা অমান্য করে এবং ভুয়া কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
এদিকে এলাকার অনেক স্থানীয় জনগণ জানান-ওই মহিলা ও তার পরিবারের খরিদকৃত ভূমি অন্যায় ভাবে বেদখল দিয়ে রেখেছে চাঁনমিয়া গংরা । ওই মহিলার ভূমির বৈধ মালিকানা রয়েছে বলেই তো দশ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায়- ওই মহিলা তা মানেনি ।
এছাড়া্ও ওই ভূমির দলিলপত্র সূত্রে জানা গেছে-২০০২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সান্দিকোনার পটুয়াপাড়া গ্রামের মৃত জনাব আলীর পুত্রদ্বয় মোঃ আব্দুল হেকিম ও মোঃ আলী উছমানের কাছ থেকে সাফ কাওলা দলিলমূলে সাড়ে ১২ শতাংশ ভূমি ক্রয় করেন জনাব আলীর অপর পুত্র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ।পরবর্তীতে সাফ কাওলা দলিলমূলে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর ওই ভুমি থেকেই ৬ শতাংশ ভূমি সখিনা গংদের কাছে বিক্রি করে দেয় আব্দুর রাজ্জাক । ওই ভুমির ভায়া দলিল,সাফ কাওলা দলিলসহ অনুমোদিত নাম জারী ও জমা খারিজসহ সকল কাগজপত্রেই সখিনা গংদের বৈধতা থাকা সত্ত্বেও চাঁনমমিয়া গংরা সখিনার খরিদকৃত ভুমি অন্যায়ভাবে বেদখল দেওয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- নিরীহ সখিনা গংদের ক্রয়কৃত ভূমির বেদখলকারীদের খুঁটির জোর কোথায়?
জানু ২৬, ২০২০ ০
জানু ২৬, ২০২০ ০
জানু ২৬, ২০২০ ০
জানু ২১, ২০২০ ০
জানু ২১, ২০২০ ০
ভাষা সৈনিক ডাঃ এম এ হামিদ খানের ইন্তেকাল, সর্বস্তরের...
জানু ২৬, ২০২০ ০
টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ (টিএসসি) স্থাপন একনেকে অনুমোদন...
জানু ২৬, ২০২০ ০
নেত্রকোনার পূর্বধলায় সরকারি জায়গার গাছ কেটে নিয়েছে...
জানু ২৬, ২০২০ ০
নেত্রকোনায় দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার ২০তম প্রতিষ্ঠা...
জানু ২১, ২০২০ ০
নেত্রকোনায় আল আমিন খান পাঠানের ১৭তম মৃত্যু-বার্ষিকী...
জানু ২১, ২০২০ ০
মে ১৯, ২০১৮
অক্টো ১৬, ২০১৮
নভে ২৫, ২০১৮
জুলা ১৮, ২০১৯
জুলা ১০, ২০১৮
জুলা ০৬, ২০১৮
জুলা ২৯, ২০১৮