Feb 23, 2020 সম্পাদনা- সোহেল রেজা নেত্রকোনার প্রিয় মুখ, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা সদর, সারাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক,নেত্রকোনার আলো ডটকম:
নেত্রকোনা অনলাইন রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি, সাপ্তাহিক কৃষকেরবাণী পত্রিকার সম্পাদক, সমাজ সেবক আলী আমজাদ এর ৬৭তম জন্মদিন ক্লাবের উদ্যেগে পালিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জেলা শহরের বারহাট্টা রোড এলাকার নেত্রকোনা অনলাইন রিপোর্টার্স ক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন ক্লাবের কার্য নিবার্হী সদস্য প্রফেসর ননী গোপাল সরকার।
এছাড়াও তার দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা অনলাইন রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্য নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক দিলওয়ার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন আকন্দ, যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সম্মানিত সদস্য পবত্রি চন্দ্র সরকার, সহ সম্পাদক সোহেল খান দুর্জয়, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান সুমন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম, সদস্য এ এম মেহেদী হাসান আকন্দ, ফারুক আহাম্মেদ, হাফিজুর রহমান খান সহ প্রমূখ।
উল্লেখ্য,
জন্ম: মোঃ আলী আমজাদ নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার ১২ নং বৈরাটী ইউনিয়নের বিলকাউসী গ্রামে ১৯৫৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা মরহুম আব্দুল গফুর মাস্টার, মাতা জয়নব বেগম। তিনি পিতা মাতার প্রথম সন্তান। মা-বাবা, প্রতিবেশী-আত্মীয় স্বজনের কাছে তিনি একজন প্রিয় মানুষ।
শিক্ষা জীবন: তার শিক্ষা জীবনের হাতেখড়ি বাইন্জা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। ১৯৭০ সালে শাহগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেন এবং ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর মহাবিদ্যালয় থেকে বি.এ পাশ করেন। স্কুল ও কলেজ জীবনেই তিনি সর্বত্র ছাত্র-নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ছাত্র শিক্ষকের প্রিয়মুখ ছিলেন। সততা, নিষ্ঠা ও আগ্রহ দিয়ে সকলের মন জয় করেন। তার ছিলো না কোন হিংসা, বিদ্বেষ, অহংকার। জীবনটাকে গড়ে তুলেছেন খুব সাদাসিদে ভাবে। উচ্চ বিলাস তাকে কখনো স্পর্শ করতে পারেনি। সকলের সাথে সদ্ভাব বজায় রেখেছেন। অন্যকে মূল্যায়ন করেছেন এবং সেন্হ ও শ্রদ্ধাভরে সকলকে আগলে রেখেছেন। অন্যের সুখ-দুঃখের সাথী ছিলেন সর্বক্ষণ। সবার ডাকে হাজির হয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে। সমাজের যে কোন মানুষের যে কোন সমস্যা সমাধানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
কর্মময় ও সামাজিক জীবন: তার কর্মময় জীবন বড়ই বর্ণাঢ্য। বি.এ পরীক্ষা দিয়ে তিনি নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহঃ শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। সেখানেও তিনি শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন এবং নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষকদের বিভিন্ন আঙ্গিকে। পরবর্তী সময় সার্বিক দিক বিবেচনা করে ১৯৮৬ সনে স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। লক্ষ্য ছিলো সকল শ্রেণী পেশার অসহায় মানুষদের মাঝে নিজেকে নিবেদিত করা, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাঁদেরকে পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার সহায়তা করা। তিনি নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত করলেন বিল কাউসী গফুর স্মৃতি পাঠাগার। শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। তারপর শুরু করলেন নিজ ভাবনার ধারায় বিভিন্ন গল্প, প্রবন্ধ লেখা। যাহা স্থানীয় ও জাতীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশ করে লেখক হিসাবে যোগ করলেন জীবনের আরেকটি যাত্রা। ২০১৩ সালে তারই সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক কৃষকের বাণী নামক একটি পত্রিকা। যেখানে কৃষকের ভাবনা, চিন্তা ও উন্নত সেবা, কৃষি পণ্য বাজারজাত করণের বিভিন্ন বিষয় আলোচিত হয়। গিয়েছে মাঠে-প্রান্তরে কৃষকের সমস্যা সমাধানে। সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন তথ্য ও সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
অসহায়, দরিদ্র, নির্যাতিত বিভিন্ন পেশার মানুষকে সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ইউ.এস.কে.এস নাম একটি সামাজিক সংগঠন। যাহার নির্বাহী পরিচালক তিনি নিজে। যাহার নৈমিত্তিক কাজ মানুষকে সহায়তা করা, আর্থিক উন্নয়নে বিভিন্ন সেবা, সামাজিক যে কোন সমস্যা সমাধানে অংশগ্রহণমূলক আলোচনা। সাহিত্য সংস্কৃতি, শিশু শ্রম ও বাল্য বিবাহ রোধ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কর্মকান্ডে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
দায়িত্ব পালন: সর্বজন শ্রদ্ধেয় হিসাবে ২০০৫ সনে তিনি সুপ্র জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সন থেকে সমাজসেবা কার্যালয়ের সমন্বয় পরিষদের পরপর দুইবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ সনে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি দক্ষিণ এশিয়া খাদ্য নিরাপত্তা অধিকার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এন.বি. এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক কর্মকান্ড: ১৯৬৯ সালে গণ অভ্যূত্থানে তিনি মোহনগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ভারতের শিব-বাড়ি ইয়ুথ ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির সদস্য ছিলেন। এখনো প্রগতিশীল ভাবধারার সাথে তিনি সর্বদাই সম্পৃক্ত থাকেন। ন্যায় সঙ্গত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি আজো সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
পারিবারিক জীবন: স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার খাতুন একজন সরকারী চাকুরীজীবী। তিনি দু’সন্তানের জনক। বড় ছেলে মিজানুল হক মুকুল মানবাধিকার কর্মী। ছোট ছেলে ডাক্তার গাজীউল হক পলাশ, এম.বি.বি.এস পাশ করে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত। সমাজ, জাতি ও দেশের উন্নয়নে তার নিরলস প্রচেষ্ঠা আজো অব্যাহত আছে। সাধারণের মাঝে থাকিয়া, সহিয়া-রহিয়া তিনি আজ আমাদের সকলের পাথেয় ও অনুস্মরণীয় ব্যক্তি।
তিনি সর্বদাই বলেন- সমাজ আমাকে কি দিলো তা মূখ্য বিষয় নয়। আমি সমাজকে কি দিলাম সেটা আলোচিত বিষয়।
Jun 24, 2020 ০
Jun 24, 2020 ০
Jun 24, 2020 ০
Jun 24, 2020 ০
Jun 24, 2020 ০
নেত্রকোনায় বখাটেদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়াই...
Jun 22, 2020 ০
নেত্রকোনায় আলহাজ ওসমান আলী রহ: মৃত্যুবাষির্কী পালিত
Jun 21, 2020 ০
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পৌর এলাকায় মন্দিরে দেবীর...
Jun 21, 2020 ০
নেত্রকোনার আলহাজ ওসমান আলী (রহ.)— অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব
Jun 20, 2020 ০
সাংবাদিক লিটন ধর গুপ্তর মৃত্যুতে সমাজ কল্যান...
Jun 14, 2020 ০
Jun 24, 2020
Jun 24, 2020
Jun 24, 2020
Jun 24, 2020
Jun 24, 2020
May 19, 2018
May 08, 2018
Nov 25, 2018
Jul 10, 2018
Jul 06, 2018
Jul 29, 2018