Apr 15, 2020 সম্পাদনা- সোহেল রেজা আলোচিত নেত্রকোনা, নেত্রকোনা, নেত্রকোনা, বারহাট্টা, সারাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোনার আলো ডটকম:
বর্তমানে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে যখন সারা দেশে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নেত্রকোনার বারহাট্রায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছেন চরম দূর্ভোগে। নিন্ম আয়ের মানুষগুলোর আয়ের মূল উৎস যখন বন্ধ হওয়ার পথে তখন পরিবার চালাতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।
করোনা ভাইরাসের কারনে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার পল্ট্রি শিল্পে নেমেছে ধস। যাদের মূলত পল্ট্রি খামার চালিয়ে খাদ্য ও নিজের সংসার চলতো তাদের অবস্থা করুনতর হয়ে উঠেছে। উপজেলায় প্রায় ৪শ খামারী বিপাকে পড়েছেন। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,জেলার বারহাট্টা উপজেলা সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ১০-১২ বছর আগে কিছু উদ্যোক্তা পল্ট্রি ব্যবসা শুরু করেন। প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও পরে তাদের ব্যবসা ভালই চলছিল। করোনা ভাইরাসের কারনে ওই ব্যবসায় ধস নেমেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন দেয়ায় যানবাহন চলাচল অনেকটা বন্ধের মত। এতে করে খামারীরা বাইরে থেকে মুরগির খাবার আনতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করে খাবার আনলেও দাম পড়ে অনেক বেশি। খাবারের অভাবে উৎপাদনও কম এবং বিভিন্ন খামারের মোরগও যাচ্ছে মরে । এক কেজির একটি মোরগ উৎপাদন করতে খরচ পড়ে ৮০ থেকে ৯০টাকা। কিন্তু বাজার ভাল না থাকায় বর্তমানে বিক্রি করতে হয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। তাও আবার বাজার ভাল না থাকায় বিক্রিও করা যায় না। এতে করে খামারীদের চলছে দুর্দিন।
উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কৈলাটী গ্রামের শওকত আহম্মেদ শামীম, গুমুরিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম,বারহাট্টা সদরের সুলতান আহমেদ ধার কর্জ করে ব্যবসা শুরু করেন। আস্তে আস্তে তারা ব্যবসা সম্প্রসারিত করেন, চলছিলও ভাল। এলাকায় তাদের দেখাদেখি আরও অনেকে উৎসাহিত হয়ে এই ব্যবসা শুরু করেন।
সরেজমিন বারহাট্টা সদর, গুমুরিয়া, কৈলাটীসহ কয়েকটি গ্রামের মুরগের খামার ঘুরে দেখা গেছে, খামারে খাবার সংকট। লেয়ার, কক ও পোল্ট্রির খামারে খাবারের অভাবে বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়েছে। কোনটিতে দেখা গেছে বাচ্চা ও মোরগ মরে যাচ্ছে।
কৈলাটী গ্রামের খামারী শওকত আহম্মেদ শামীম,গুমুরিয়া গ্রামের তাজুল ইসলাম,বারহাট্টার সুলতান প্রত্যেকেই বলেন, আমরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছি। দেশে করোনা ভাইরাস দেখা দেয়ার পর বাইরে থেকে মোরগের খাবার আনতে পারছি না। যা কিছু খাবার ছিল শেষ হয়ে গেছে। খামারে উৎপাদিত মোরগ বিক্রিও করতে পারছি না। দার দেনা করে ব্যবসা করছিলাম। এখন আমাদেও পথে বসার অবস্থা হয়েছে। সরকার সব কিছুতে সাহায্য করছেন,আমাদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সহযোগিতা করা দরকার।
বারহাট্টা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মহিউদ্দিন বলেন,এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও আমরা কোন ধরনের দিক নির্দেশনা পাইনি। সরকারি নির্দেশনা পাওয়া গেলে ক্ষতিগ্রস্থ খামারিদের ব্যাপারে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Aug 05, 2020 ০
Aug 05, 2020 ০
Aug 05, 2020 ০
Aug 04, 2020 ০
নেত্রকোনার ডিসি প্রজাতন্ত্রের একজন জনবান্ধব...
Aug 05, 2020 ০
নেত্রকোনায় শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে জেলা যুবলীগের...
Aug 05, 2020 ০
মদনে নৌকা ডুবিতে হতাহতের ঘটনায় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর...
Aug 05, 2020 ০
বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে কাজ করছে: অসিত...
Aug 04, 2020 ০
Aug 03, 2020
Aug 03, 2020
Aug 03, 2020
Aug 03, 2020
May 19, 2018
May 08, 2018
Nov 25, 2018
Jul 10, 2018
Jul 29, 2018
Jul 06, 2018