Jul 06, 2020 সম্পাদনা- সোহেল রেজা র্শীষ সংবাদ চার, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
আমরা অনেকেই ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি খাই না। কিন্তু ওজন বরং কমাতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। ভারতের পুষ্টিবিজ্ঞানী রুজুতা দিয়েকর বলছেন, ঘি খেলেই মোটেই ওজন বা কোলেস্টেরল বাড়ে না। বরং ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেসারের মতো সমস্যা কমে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে অর্থাৎ সকালে, দুপুরে, বিকেলে বা রাতে খাবার পাতে ঘি থাকলে এই দুই সমস্যা ছাড়া আরও নানা সমস্যার সমাধান হবে। যেমন- হদরোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা, ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম কমবে ঘি খেলে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে
প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিতর থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে, সেই সঙ্গে ত্বকের ভেতরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যায়। তাই ত্বকের সৌন্দর্যও বাড়ে।
আর্থ্রাইটিস দূরে থাকে
খালি পেটে ঘি খাওয়া শুরু করলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা একদিকে যেমন জয়েন্টের সচলতাকে বাড়িয়ে তোলে, তেমনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে আর্থ্রাইটিস ও হাড়ের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। ঘিয়ে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের গঠনে নানাভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
নিয়মিত ঘি খাওয়া শুরু করলে কোষেদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে দেহের সচলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে রোগভাগের আশঙ্কাও যায় কমে। শুধু তাই নয়, নতুন কোষেদের জন্ম যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে ঘি। ফলে যে কোনও ধরনের শারীরিক ক্ষত সেরে ওঠে কম সময়ে।
ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়
মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে উপকারি ফ্যাটের প্রয়োজন পরে। আর যেমনটা আপনারা ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন যে ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘিয়ে উপস্থিত প্রোটিন, নিউরোট্রান্সমিটাররা যাতে ঠিক মতো কাজ করতে পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধি ঘটতে সময় লাগে না।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
খালি পেতে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে ঘিয়ের অন্দরে মজুত মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড, শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেলের গলাতে শুরু করে।
উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ
ঘিয়ে রয়েছে কে২ এবং সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কাও কমায়।
এছাড়াও নিয়মিত ঘি খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় চট করে রোগ-জীবাণু আপনাকে কাবু করতে পারবে না। দুপুরে ভাতের পাতে ঘি খেলে পেট ভরা থাকে অনেকক্ষণ। ফলে বিকেলে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ইচ্ছেটাও আস্তে আস্তে কমে যায়। খাওয়ার পর অনেকেরই ঘুম পায়। পাতে রোজ ঘি খেলে সেই সমস্যাও কমে। রাতে নিয়মিত ঘি খেলে ঘুম ভালো হয়। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। খাবার হজম হয় ঝটপট। যারা কোলেস্টেরল বা হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী তারাও সমস্যা কমাতে রোজ নিশ্চিন্তে ঘি খেতে পারেন। নিয়মিত ঘি খেলে লিপিড প্রোফাইল কমে। গুড কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ে। কতটা ঘি খাবেন সেটাও অবশ্যই বিবেচ্য। যতটা ঘি দিলে খাবারের স্বাদ নষ্ট না হয় ততটা পর্যন্ত ঘি রান্নায় বা পাতে দিতেই পারেন। তবে প্রত্যেকের ৩-৬ চামচ ঘি রোজ খাওয়া উচিত।
Aug 05, 2020 ০
Aug 05, 2020 ০
Aug 05, 2020 ০
Aug 04, 2020 ০
হাজীগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ আগুন
Aug 03, 2020 ০
সপরিবারে করোনামুক্ত হলেন কোয়েল মল্লিক
Aug 03, 2020 ০
অপেক্ষার পালা শেষ, আজই দর্শক মাতাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
Aug 02, 2020 ০
পঞ্চগড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
Aug 02, 2020 ০
লন্ডন থেকে দেশে ফিরলেন তামিম ইকবাল
Aug 02, 2020 ০
Aug 03, 2020
Aug 03, 2020
Aug 03, 2020
Aug 03, 2020
May 19, 2018
May 08, 2018
Nov 25, 2018
Jul 10, 2018
Jul 29, 2018
Jul 06, 2018