শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক নেত্রকোণার আলো ডটকম :
প্রবল চাপের মুখে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস আস্থাভোটের তারিখ এগিয়ে এনেছেন। জানুয়ারিতে আস্থাভোট নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি বড়দিনের আগেই এই ভোট গ্রহণে সম্মতি দিয়েছেন। খবর ডয়চে ভেলের।
রোববার জার্মানির সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শলৎস বলেন, “যদি সকলে একমত হন, তাহলে বড়দিনের আগে আস্থাভোট নিতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি ক্ষমতায় জোর করে থাকতে চাই না।”
গত সপ্তাহে শলৎসের নেতৃত্বাধীন তিন দলের ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে গেছে। জোট ভাঙনের প্রেক্ষিতে চ্যান্সেলর শলৎস দেশটির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে আস্থাভোট নেওয়া জরুরি বলে মতামত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শলৎস প্রথমে জানুয়ারির ১৫ তারিখে আস্থাভোট নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও প্রবল চাপের মুখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে তা বড়দিনের আগেই গ্রহণে সম্মত হন। তিনি বলেন, জোট ভাঙার জন্য তিনি দায়ী নন এবং তিনি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন যাতে এসপিডি, গ্রিন এবং এফডিপি পার্টির জোট অটুট থাকে।
তিনি আরও বলেন, “আমি সহযোগিতা ও সমঝোতার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছু সময় পরিস্থিতি অনেক কঠিন হয়ে গিয়েছিল। এখন সব শেষ হয়ে গেছে।” জার্মান সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে জোটের মধ্যে মতবিরোধ চরমে ওঠে, যার পরিণতিতে শলৎস লিন্ডনারকে বরখাস্ত করেন। ফলে, শলৎসের সোস্যাল ডেমোক্র্যাট ও গ্রিন পার্টি জোটে টিকে থাকলেও এফডিপি বের হয়ে যায়।
শলৎস বলেন, “সরকারের এতদিন ধরে টিকে থাকা মূলত আমার সহযোগিতা ও সমঝোতার ফল। অর্থমন্ত্রীকে বরখাস্ত করাটা একটি স্পষ্ট ও নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত ছিল।”
ডয়চে ভেলে জানায়, আস্থাভোটে শলৎস পরাজিত হতে পারেন। যদি এমনটি ঘটে, তবে জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ২১ দিনের মধ্যে বুন্দেসটাগ ভেঙে দেবেন এবং এর পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।