শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
রাজধানীর মহাখালী মোড় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবরোধ করে রাখে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা। তাদের অবস্থানের কারণে স্থবির হয়ে পড়ে মহাখালী ও আশপাশের এলাকা। এতে যানজট ছড়িয়ে পড়ে কয়েক কিলোমিটারজুড়ে, আর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়।
সকাল ১০টা থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রেললাইন অবরোধ করে রাখায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। এ কারণে কমলাপুর থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি।
দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। বিকেল ৩টার দিকে মহাখালীতে যান চলাচল শুরু হলেও ছড়িয়ে পড়া যানজটের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগছে।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী রিকশাচালকদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা মহাখালী এলাকার এসকেএস শপিং মল, রাওয়া ক্লাব ও সিটি ব্যাংকের একটি এটিএম বুথে ভাঙচুর চালায়।
হাইকোর্টের আদেশে ১৯ নভেম্বর ঢাকা মহানগরে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার সুযোগ নেই, এটি অবৈধ। এই নির্দেশের প্রতিবাদেই রিকশাচালকরা দয়াগঞ্জ, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও ও নাখালপাড়ায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
দীর্ঘ অবরোধের ফলে মহাখালী ও আশপাশের এলাকায় যানজট চরম আকার ধারণ করেছে। যান চলাচল শুরু হলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি।