শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস কিনতে সকাল থেকেই থাকে গাড়ির দীর্ঘ সারি। কয়েকঘণ্টা অপেক্ষার পর গ্যাস মিললেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। গাড়িচালকেরা বলছেন, প্রায় ৪ মাস ধরে বেড়েছে তাদের ভোগান্তি।
সাড়ে ৩ মাস পর সামিটের এলএনজি টার্মিনাল সচল হলেও, কাটেনি গ্যাস সংকট। খোলাবাজারের এলএনজি না আসায়, জাতীয় গ্রিডে বাড়েনি গ্যাসের সরবরাহ। এতে সিএনজি স্টেশনে চাহিদা মতো গ্যাস মিলছে না। টেক্সটাইল শিল্পের উৎপাদনও কমেছে ৪০ ভাগ পর্যন্ত। বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস বলছে, গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও কমপক্ষে ১০ দিন সময় লাগবে।
ঢাকার কয়েক গাড়িচালক বলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে কোথাও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাস যতটুকু ট্যাংকে যাওয়ার কথা তাও পাচ্ছি না। বেশিরভাগ সময়ই গ্যাসের প্রেসার কম থাকছে।
গ্যাসের চাপ কম থাকায় টেক্সটাইল, সিরামিকসহ বিভিন্ন শিল্পের উৎপাদনও কমছে। বন্ধ রাখতে হচ্ছে কিছু ইউনিট। এতে সময়মতো পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রপ্তানি বাজার হারানোর শঙ্কা উদ্যোক্তাদের।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) পরিচালক রাজীব হায়দার বলেন, ‘গ্যাসের প্রেসার ও সংকটের কারণে এখন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন আমাদের বন্ধ। এবং গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে যেসব কারখানা বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে সেগুলোতেও একই সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় যারা ক্রেতা তাঁরা আমাদের দেশ থেকে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত সরিয়ে নিতে পারে।’
দেশে স্থানীয় ক্ষেত্রের ২০০ কোটি ঘনফুট ও আমদানির এলএনজিতে ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ ছিল। মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সামিটের ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) অচল হয়ে যায়। এতে গ্যাস সরবরাহ নামে ২৬০ কোটি ঘনফুটে। ১১ সেপ্টেম্বর টার্মিনালটি সচল হলেও বাড়েনি এলএনজি সরবরাহ।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশনের মহাব্যবস্থাপক কাজী মো. সাইদুল হাসান বলেন, ‘যে এফএসআরইউ-টি ড্যামেজ হয়েছিল তা এখন কাজে ফিরেছে। স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার ব্যাপারে সরকার খুব আগ্রহী। চেষ্টা চলছে। আশাকরি আগামী এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে।’
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জসহ তিতাসের অধীনে থাকা এলাকাগুলোতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা কমপক্ষে ২০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। গড়ে মিলছে মাত্র ১৪০ কোটি ঘনফুট।