শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক,নেত্রকোণার আলো ডটকম:
দেশে আবারও বাড়ছে ডেঙ্গু। গত চার দিনে দু-হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। মারাও যাচ্ছেন অনেকেই। এমন অবস্থায় ডেঙ্গু মোকাবেলায় নেত্রকোণাতেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়েছে নানা উদ্যোগ।
পরিসংখ্যান বলছে,দেশে জুলাই মাসেও দিনে অন্তত ৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এখন হচ্ছে ৪০০ জন। সেপ্টেম্বরের ১১ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজারের বেশি মানুষ। মারা গেছেন ১৯ জন। এর মধ্যে ঢাকাতেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। ঢাকা ছাড়া কক্সবাজার, বরগুনা ও যশোরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী বেশি ।
চিকিৎসক ও কীটতত্ববিদের আশঙ্কা, সেপ্টেম্বর মাসজুড়েই ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে। এটিকে সেপ্টেম্বরে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অক্টোবর মাসেও পরিস্থিতি খারাপ হবে।’
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘যেভাবে এখন বৃষ্টি হচ্ছে এর কারণেও ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে। পুরো বাংলাদেশে যেহেতু ইনফেকশন ছড়িয়ে গেছে, সেক্ষেত্রে আমাদের ভেক্টর কন্ট্রোলের পদ্ধতিটাও কিছুটা ভিন্ন হবে।’
রাজধানীর প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই বেড়েছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু ওয়ার্ডে দুই সপ্তাহে রোগী বেড়েছে তিনগুণ।
চিকিৎসকেরা বলছেন,‘অনেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শকে চলে যাচ্ছেন, তবুও হাসপাতালে আসছেন না। দু-তিনদিনের জ্বর, শরীরে ব্যথা-মাথাব্যথা এসব উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা উচিত। সচেতনতার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যুও পর্যন্ত হতে পারে।’
নেত্রকোণা সিভিল সার্জন অনুপম ভট্রাচার্য্য নেত্রকোণার আলো ডটকমকে বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তরপে সব ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জেলার ৯ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার প্রস্তুতি নেয়া আছে। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। এখন নাগাদ হাসপাতালে কোন রোগী নেই। রোগী আসলে হাসপাতালে প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হবে। কীটতত্ব কর্মকর্তা না থাকায় লার্ভা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। তবে জেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কর্মীরা ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, কেউ জ্বরে আক্রান্ত হলে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে কাছের হাসপাতালে চলে যান। হাসপাতালের বাইরে ডেঙ্গু পরীক্ষা না করা, কোনরকম ঢিলেমি বা অসতর্কতা না করার কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, পৌরসভাগুলো থেকে মশা নিধনে ওষুধ ছিটানো জরুরিভাবে দরকার।
এ বছর হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি। মারা গেছে ১০২ জন।