শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেশের চার জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ময়মনসিংহ বিভাগের ভুগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেরপুর জেলার নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে ভুগাই নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভুগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে, যার ফলে শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা এবং জামালপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পরবর্তী দুইদিনে এই নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হতে পারে।
এছাড়া সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপদসীমার নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, যার ফলে এই নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচেই থাকবে। তবে পরবর্তী দুইদিনে পানি কমতে পারে।
চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে সাঙ্গু, মুহুরী, হালদা, ফেনী ও মাতামুহুরী নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে এবং বিপদসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামের নদীগুলোর পানি সমতল বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা বরিশাল ও খুলনার উপকূলীয় এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা উচ্চ জোয়ার সৃষ্টি করতে পারে।
রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচে রয়েছে। পরবর্তী দুইদিনে এসব নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি পাঁচদিনের মধ্যে বাড়লেও তা বিপদসীমার নিচেই থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি ধীরে ধীরে বাড়ছে, তবে বিপদসীমার নিচে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা জেলার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, টঙ্গী খাল ও বালু নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত এই নদীগুলোর পানি সমতল ধীরে ধীরে বাড়তে পারে, তবে তা বিপদসীমার নিচে থেকেই প্রবাহিত হবে।