বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২০ অপরাহ্ন

আদালতের নির্দেশে আন্দোলনে নিহত সোহাগের মরদেহ উত্তোলন

আদালতের নির্দেশে আন্দোলনে নিহত সোহাগের মরদেহ উত্তোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সোহাগ মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ চার মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়খাপন গ্রামে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত ২০ আগস্ট নিহতের বাবা মো. শাফায়েত মিয়া ঢাকার ডিএমপি ভাটারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোর উত্তর মালিবাগ পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সিআইডি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহটি দাফন করা হয়েছিল। তদন্তের স্বার্থে আদালতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর বুধবার সকালে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে।”

নিহতের বাবা মো. শাফায়েত মিয়া বলেন, “সোহাগ মারা যাওয়ার সময় দেশের পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল। তখন ময়নাতদন্ত ছাড়া বাড়িতে এনে লাশ দাফন করতে হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ পুলিশ লাশ উত্তোলন করেছে।”

উল্লেখ্য, সোহাগ তার পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর নয়াবাজার এলাকায় বসবাস করতেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার আসরের নামাজের পর বাসা থেকে বের হয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার বাবা হাসপাতালে গিয়ে ছেলের নিথর দেহ দেখতে পান। ওই সময় পরিস্থিতির কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

( নেত্রকোণার আলো ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। )

Comments are closed.




© All rights reserved © 2024 www.netrakon-r-alo.com