বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
যুক্তরাজ্যের তৈরি স্টর্ম শ্যাডো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বুধবার (২০ নভেম্বর) এই হামলা হয়।
টেলিগ্রামে রুশ যুদ্ধ প্রতিবেদকেরা জানান, হামলার সময় অন্তত ১৪টি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।
ইউক্রেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার শুরু করে। এর একদিন পরই যুক্তরাজ্যের ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে কুরস্কে এই হামলা চালানো হয়। কুরস্ক অঞ্চলের স্থানীয়রা ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, স্টর্ম শ্যাডো কেবল ইউক্রেনের ভূখণ্ডে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত। তবে এই অস্ত্র রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহারের জন্যও যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিয়ে আসছিল।
এই হামলার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের নীতিমালা শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছেন।
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েনের খবরও পাওয়া গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এই ঘটনায় তাদের পারমাণবিক প্রস্তুতি পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে মানববিধ্বংসী স্থলমাইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন এবং ২৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
এক হাজার দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও উত্তেজনাপূর্ণ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ইউক্রেনের পাঁচভাগের একভাগ এলাকা বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে গেলে ইউক্রেন যুদ্ধে হেরে যেতে পারে।