বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডেস্ক:
রোববার (২০ অক্টোবর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ঋণ পরিশোধে ঋণ ছাড়ের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।
ইআরডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ সরকার সুদ ও আসল মিলিয়ে ১১২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে, যেখানে ঋণ ছাড় হয়েছে ৮৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার। ফলে এই তিন মাসে ঋণ ছাড়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধ ২৮ কোটি ডলার বেশি ছিল।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণ ছাড়ের পরিমাণ কমেছে, আর ঋণ পরিশোধ বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ ১২৮ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পায়, যা এবারের তুলনায় ৪২ কোটি ডলার বেশি। এছাড়াও, গত বছরের তুলনায় এবার সরকারকে ২৫ কোটি ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার কয়েকশো কোটি ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে। তবে অর্থ ছাড় কমায় এবং ঋণ পরিশোধ বৃদ্ধিতে ঋণ প্রাপ্তি ও পরিশোধের ভারসাম্য নেতিবাচক হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডলারের বাড়তি দাম এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের কারণে আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই বিদেশি ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বেড়ে চলেছে।
এদিকে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতিও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এই সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে ছাড় করা মোট অর্থের মধ্যে ১৮ কোটি ২৫ লাখ ডলার অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। একই সময়ে ৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ডলার ঋণের আসল এবং ৪৪ কোটি ১০ লাখ ডলার সুদ পরিশোধ করেছে সরকার।