বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
হাইকোর্ট আজ বৃহস্পতিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা ছয়টি মামলা বাতিল করেছেন। এর মধ্যে পাঁচটি শ্রম আদালতের মামলা এবং একটি মানহানির মামলা অন্তর্ভুক্ত।
বিচারপতি এ কে এম আছাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০১০ সালে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মানহানির মামলার রায় প্রদান করে বলেন, “এটি একটি হয়রানিমূলক মামলা, যার মাধ্যমে আদালতকে ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছিল।”
শ্রম আদালতে দায়ের করা পাঁচটি মামলার বিষয়ে আদালত মন্তব্য করেন, “মামলাগুলো যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই করা হয়েছে। বাদী শুধু আদালতের সময় অপচয় করেছেন। তাই এসব মামলা বাতিল করা হলো।”
২০১০ সালের কোতোয়ালি থানার মানহানির মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন ছিল। একই সঙ্গে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কর্মচারী সংক্রান্ত পাঁচটি মামলা চলছিল।
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, এসব মামলার কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় ড. ইউনূসের ওপর আইনি চাপ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।
গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে। পরে ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের কার্যক্রমের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা এবং হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বিশেষভাবে আলোচিত।
এই আদেশ ড. ইউনূসের জন্য একটি বড় আইনি বিজয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।