বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
সম্প্রতি বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টে আলোচনা হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং আইনের শাসনের ওপর জোর দেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর আইনজীবীর ওপর হামলার বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে কীভাবে দেখছে এবং এটি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও আইনের শাসনের ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে।
মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাংলাদেশি জনগণের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার পক্ষে তাদের অবস্থান স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আইনের শাসন এবং নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার।”
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি অপসারণের সম্ভাবনা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিক বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে, যা গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সংখ্যালঘু অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কী ভাবছে?”
মিলার উত্তরে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্য নেই।”
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, আদালত প্রাঙ্গণে সহিংসতা, এবং সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে বিতর্ক বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিষয় আন্তর্জাতিক মহলের নজরে আসছে এবং মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতির ওপর প্রভাব ফেলছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ ধরনের ঘটনা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে এবং আদালতে সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগকেই প্রতিফলিত করে।