বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
মাইগ্রেনের ব্যথা কেবল কষ্টদায়ক নয়, এটি জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারে। যারা এই সমস্যায় ভোগেন, তারা জানেন এটি কতটা যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। সাধারণত মাইগ্রেনের ক্ষেত্রে মাথার একপাশে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, যার সঙ্গে বমি বমি ভাব বা আরও কিছু জটিল উপসর্গ থাকতে পারে।
মাইগ্রেনের তীব্র ব্যথায় তাৎক্ষণিক করণীয়:
অন্ধকার জায়গায় বিশ্রাম: ব্যথা শুরু হলে একটি অন্ধকার ও শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম নিন।
ঠান্ডা সেঁক: মাথায় ঠান্ডা পানি, বরফ বা ভেজা কাপড় দিয়ে সেঁক দিলে ব্যথা কিছুটা কমে।
মালিশ: ভেষজ তেল বা স্থানীয় ব্যথানাশক তেল দিয়ে মাথায় হালকা মালিশ করতে পারেন।
তরল গ্রহণ: পর্যাপ্ত পানি, হালকা গরম চা বা ভেষজ চা পান করুন। এটি আরাম দিতে পারে।
ডিজিটাল স্ক্রিন এড়িয়ে চলুন: কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনে তাকানো পরিহার করুন।
ওষুধের ব্যবহার:
ব্যথানাশক ওষুধ: প্যারাসিটামল বা অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ তীব্র ব্যথা কমাতে কার্যকর।
বমির জন্য: বমি হলে ডমপেরিডনজাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন।
ট্রিপটিন গোত্রের ওষুধ: যদি ব্যথা গুরুতর হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসব ওষুধ ব্যবহার করলে কার্যকর হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়:
মাইগ্রেনের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে কিছু অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে এর প্রকোপ কমানো সম্ভব।
খাবারে সচেতনতা: চকলেট, কফি, চিজ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ঘুম: অনিদ্রা মাইগ্রেনের একটি বড় কারণ।
দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ: মানসিক চাপ কমানোর জন্য মেডিটেশন বা শিথিলায়ন অভ্যাস করুন।
ডিজিটাল ডিভাইস কম ব্যবহার: দীর্ঘ সময় টিভি বা কম্পিউটার স্ক্রিনে থাকা এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত ওষুধ: চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন করুন।
মনে রাখবেন:
মাইগ্রেন যন্ত্রণাদায়ক হলেও এটি কোনো গুরুতর রোগ নয়। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং সচেতন হলে এর প্রভাব কমানো যায়। তাই দুশ্চিন্তা না করে জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনুন।
ডা. শাহনূর শারমিন
সহযোগী অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল