রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে বিশেষ ব্যবস্থায় তারল্য সহায়তা দিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবল ব্যাংকগুলো থেকে এ তারল্য দুর্বল ব্যাংকগুলো দেওয়া হচ্ছে। তবে দুর্বল ব্যাংককে দেওয়া ঋণের টাকা ফেরত চাইলে সবল ব্যাংকগুলোকে তিন দিনের মধ্যেই ফেরত দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে কয়েকটি ব্যাংকের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, কোনো ব্যাংক চাইলে ঋণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করতে পারবে না। নির্ধারিত পরিমাণের বেশি ঋণ কেউ দিতেও পারবে না; এমনকি নিতেও পারবে না কোনো ব্যাংক। কোনো ব্যাংককে কত টাকার তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে, সেটি নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া দুই ব্যাংকের সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে।
বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটাতে চলতি মাসের ২২ তারিখে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়। যেখানে গ্রান্টার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেদিনই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য দিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল ১৪টি সবল ব্যাংক।
তবে শুরুতে আগ্রহ দেখালেও হটাৎ দুর্বল ব্যাংককে টাকা দিতে চাইছে না সবল ব্যাংকগুলো। ফলে ১০টি সবল ব্যাংককে ডেকে পাঠায় বাংলাদেশ ব্যাংক। যেখানে অংশ নেয় ব্র্যাক, ইস্টার্ন, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, বিডিবিএল, ঢাকা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামিক ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের কর্তারা। যাদেরকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন গভর্নর।
এক্সিম ও ইসলামী ব্যাংক আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে গ্যারান্টি চুক্তি হয়নি। এদিকে ধুকতে থাকা আরও দুই ব্যাংক পদ্মা ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক এখন পর্যন্ত কোনো আবেদনই করেনি।