বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ অপরাহ্ন

তারেক রহমান: আমাকে ‘দেশনায়ক’ বা ‘রাষ্ট্রনায়ক’ বলবেন না

তারেক রহমান: আমাকে ‘দেশনায়ক’ বা ‘রাষ্ট্রনায়ক’ বলবেন না

নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘‘আজকের পর থেকে আমাকে দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না। একজন সহকর্মী হিসেবে আমার অনুরোধ, দয়া করে আমার নামের সঙ্গে আজকের পর থেকে দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক শব্দ ব্যবহার করবেন না।’’

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

কর্মশালায় বিএনপির শীর্ষ নেতা নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি ৩১ দফা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শাসন, বেকারত্ব দূরীকরণসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ৩১ দফার মাধ্যমে তিনি ভবিষ্যতে বিএনপি কীভাবে দেশ পরিচালনা করতে চায়, সে সম্পর্কে অবহিত করেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স শিল্পের বাইরে নতুন কর্মমুখর সেক্টর তৈরির সুযোগ এবং সম্ভাবনা রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ে অধিকাংশ মানুষ যেন যুক্ত হতে পারে, সে জন্য সরকারিভাবে আমরা তা উৎসাহিত করবো।’’

সংস্কার প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘‘বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ ও জাতির প্রতি যে চিন্তা, যখন দেশের এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ চিন্তা করেনি, তখন বিএনপি ২৭ দফা দিয়েছিল।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি দল, যারা দেশ পরিচালনা করেছে। হয়তো অনেক কিছু করতে পারিনি, আবার অনেক কিছু করেছি।’’ তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সরকারের অবদান ও সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।

তারেক রহমান ৩১ দফাকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। গ্রাম পর্যায়ে ৩১ দফা নিয়ে উঠান বৈঠক করার পরামর্শ দেন তিনি।

তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের একনেতার বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘‘জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি না হলে, যে সংস্কারই করি, তা কোনো কাজে আসবে না। রাজনৈতিক মুক্তি মানে হচ্ছে জনগণের কাছে জবাবদিহি। কারো যা ইচ্ছা, তা করতে দেওয়া যাবে না— সেটা সরকারি দল হোক, বিরোধী দল, এমপি হোক, মন্ত্রী হোক; জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেই এ জবাবদিহি তৈরি করতে হবে।’’

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘‘দেশে এক কোটির বেশি বেকার রয়েছেন। আমাদের গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্সের বাইরে নতুন সেক্টর তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করার সুযোগ রয়েছে। আমি চেষ্টা করছি, তবে অত দ্রুত কিছু হবে না। অনেকাংশে সমস্যা কমাতে সক্ষম হব, তবে রাতারাতি সব কিছু পরিবর্তন হবে না। দেশ সবার, প্রত্যেকের অবস্থান থেকে একে একে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই যদি চেষ্টা করি, ইনশাআল্লাহ, ভালো কিছু করতে সক্ষম হব।’’

প্রশিক্ষণ সভায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বক্তব্য রাখেন। ঢাকা বিভাগের নেতাকর্মীরা মতামত প্রদান করেন।

( নেত্রকোণার আলো ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। )

Comments are closed.




© All rights reserved © 2024 www.netrakon-r-alo.com