শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বীরত্বসূচক খেতাব প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে আ স ম আবদুর রব বলেন, মেজর জলিল ছিলেন দেশের অকুতোভয় সাহসী সন্তান। তিনি নিশ্চিত ও নিরাপদ জীবন ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং অসম সাহসিকতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে তার নেতৃত্ব মুক্তিযুদ্ধের সাফল্যে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মেজর জলিল মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে স্বাধীনতার পর পর্যন্ত দেশপ্রেম এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রতীক ছিলেন। তবে মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার এই অবদানের কোনো স্বীকৃতি দেয়নি।
রব আরও বলেন, “স্বাধীনতার পর খুলনা সীমান্ত দিয়ে দেশের সম্পদ পাচারের প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারণে মেজর জলিল ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার হন এবং তাকে কার্যত নজরবন্দি রাখা হয়। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি। পরে ১৯৭২ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান।”
স্বাধীন দেশের প্রথম রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করা মেজর জলিলের বীরত্বপূর্ণ অবদান সত্ত্বেও তাকে বীরত্বসূচক খেতাব থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে রব উল্লেখ করেন।
আ স ম আবদুর রব বলেন, “একমাত্র ৯ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছাড়া অন্য সব সেক্টর কমান্ডারকে বীরউত্তম খেতাব প্রদান করা হয়েছে। মেজর জলিলের বীরত্বকে অস্বীকার করা
গত পাঁচ বছরে এই অন্যায়ের প্রতিকার কেউ করেনি উল্লেখ করে তিনি আহ্বান জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মরণোত্তর ‘বীরউত্তম’ খেতাব প্রদান করে এই দায়মোচন করবে এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
মেজর জলিলের মতো অকুতোভয় সৈনিকের প্রাপ্য সম্মান না দেওয়া মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একটি বড় অবিচার উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এবার ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে। তার বীরত্বের যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।”