শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ (এমপিও) ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার (ইএফটি) পদ্ধতিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ইএফটি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তি, উচ্চতর গ্রেড এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধার আবেদনের সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করেছে।
প্রতি জোড় মাসে (ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল, জুন) ৬ তারিখের মধ্যে এমপিওভুক্তির আবেদন জমা দিতে হবে।
বেজোড় মাসে (জানুয়ারি, মার্চ, মে) ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে এমপিও কমিটি আবেদন যাচাই ও অনুমোদন দেবে।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা আটটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে অনেকটা অ্যানালগ পদ্ধতিতে ছাড় করা হয়। ফলে শিক্ষকরা প্রায়ই সময়মতো বেতন-ভাতা পান না। ইএফটি চালু হলে শিক্ষকরাও সরকারি কর্মচারীদের মতো মাসের শুরুতেই নির্ধারিত সময়ে বেতন-ভাতা পেতে পারবেন।
প্রাথমিকভাবে বেসরকারি স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও ইএফটি পদ্ধতিতে পাঠানোর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ ইএফটি কার্যক্রম চালু করতে সব শিক্ষকের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
শিক্ষকদের জাতীয় পরিচয়পত্র, রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর, এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাউশি থেকে জারি করা এক আদেশে এসব তথ্য আইবাস++ সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইএফটি পদ্ধতিতে মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়াও চলমান।
বেসরকারি শিক্ষকরা ইএফটি কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। বাংলাদেশ শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মো. হাবিবুল্লাহ রাজু বলেন, “শিক্ষকরা এর দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চায়। সেই সাথে যেন কেউ হয়রানির শিকার না হন, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”
এ উদ্যোগ শিক্ষকদের সময়মতো বেতন-ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।