শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বড় উত্থানের পর যেমন বড় দরপতন হয়েছে, তেমনি বড় দরপতনের পর আবার সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এই অস্থিরতার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়ছে, যেখানে সোনার দাম হুটহাট বাড়ানো এবং কমানোর ঘটনা ঘটছে। চলতি নভেম্বর মাসে দেশব্যাপী সোনার দাম ছয় বার বাড়ানো বা কমানো হয়েছে।
বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে সোনার দাম পাঁচ কার্যদিবসে প্রায় ১২২ ডলার কমে যায়। তবে, তার পরবর্তী সপ্তাহে সোনার দামে বড় উত্থান ঘটে, যখন প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে ১৫৩ ডলারের বেশি হয়। এই উত্থানে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানো হয়, যদিও বিশ্ববাজারের তুলনায় বাড়ানোর হার ছিল কম।
গত সপ্তাহে ২০ ও ২২ নভেম্বর দুই দফায় বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। ২০ নভেম্বর, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর ২২ নভেম্বর, দাম বাড়ানো হয় ১ হাজার ৯৯৪ টাকা। এর ফলে, গত সপ্তাহে দেশের বাজারে সোনার দাম মোট ৪ হাজার ৯৩৪ টাকা বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম এক সপ্তাহের মধ্যে ২ হাজার ৫৬২ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৭১৫ ডলার পৌঁছেছে, যা প্রায় ১৫৩ ডলারের বৃদ্ধি। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই বৃদ্ধি ১৮ হাজার ৩৯৭ টাকার সমান।
গত ২২ নভেম্বর, বাজুস থেকে ঘোষিত সোনার নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম বেড়ে ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকায় পৌঁছেছে।
বাজুসের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে সোনার দামে চলমান অস্থিরতা বাজারকে আরো অপ্রত্যাশিত করে তুলেছে। সোনার দামের ভবিষ্যত প্রবণতা অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশ্ববাজারে সোনার দাম যে কোনো সময় আবার বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।