শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক, নেত্রকোণার আলোর ডটকম:
নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, “স্থানীয় নির্বাচনে একটি সমন্বিত পার্লামেন্টারি সিস্টেম চালু করতে পারলে ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচন একই পদ্ধতিতে আয়োজন সম্ভব হবে।”
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যম সম্পাদকদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. তোফায়েল বলেন, “বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচন পাঁচটি ভিন্ন আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। একে সমন্বিত না করলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন হয়ে পড়বে।”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি উঠেছে। এতে নির্বাচন কমিশনের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন নিশ্চিত হবে। তবে এই সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে, স্থানীয় নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে অনেক জটিলতা তৈরি হবে।”
ড. তোফায়েল উল্লেখ করেন, “বর্তমান স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা অপ্রতুল ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি আইয়ুব খানের শাসনামলের চিন্তাধারার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। এখন একটি কমপ্রিহেন্সিভ আইন তৈরি করে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করার মোক্ষম সময়। এতে ব্যয়, সময় এবং জনশক্তি অনেক কম লাগবে।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচনে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। নতুন প্রস্তাবিত সিস্টেম চালু করলে এই ব্যয় কমে ৬০০ কোটি টাকায় আসবে এবং সময় লাগবে মাত্র ৪৫ দিন।”
ড. তোফায়েল জানান, “ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যেখানে সরাসরি মেয়র বা চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে না। কাউন্সিলর ও মেম্বাররা নির্বাচিত হয়ে নির্বাহী কমিটি গঠন করবেন। এতে নির্বাচন হবে সাশ্রয়ী এবং কার্যকর।”
তিনি বলেন, “যদি সমন্বিত আইন চালু না করা হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচটি আলাদা আইন দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন আয়োজন করা প্রায় অসম্ভব হবে। তাই এই সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।”