শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
বাংলাদেশ ব্যাংক তারল্য সংকট দূর করতে ২২,৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ছয়টি ব্যাংককে সহায়তা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য আমানতকারীদের সুরক্ষা। দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা। বন্ড ছাড়ার মাধ্যমে এই অর্থ পুনরুদ্ধার করা হবে, এবং বাজারে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি হবে না।”
গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে গভর্নর বলেন, “রবিবার (১ ডিসেম্বর) থেকেই ব্যাংকিং খাতে পরিবর্তন দেখা যাবে। গ্রাহকদের আমানতের সুরক্ষার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছে।”
সূত্র জানায়, গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) পাঁচটি ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আরও দুটি ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়। সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাতে যে অনিয়ম হয়েছে, তার ফলস্বরূপ এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এসব অনিয়মের কারণে বেসরকারি খাতের বেশ কয়েকটি ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট আহসান এইচ মনসুর বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩তম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, “দুর্বল ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাপিয়ে আর সহায়তা দেওয়া হবে না।” তবে সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে তিনি এই নীতির ব্যতিক্রম করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এখন ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। তবে এ ধরনের পদক্ষেপ ভবিষ্যতে অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।