শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে। এসব অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমেও প্রচার করা হচ্ছে, যা নিয়ে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ভারতের সংসদে আলোচনা হয়।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লোকসভায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুসহ সকল নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের, যা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।’’
সংসদ সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় মন্দির ও পূজা মণ্ডপে হামলার খবর সামনে এসেছে। যদিও বাংলাদেশ সরকার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড মোতায়েনসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের ওপর বর্তায়, এবং এ বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ বাংলাদেশ সরকারের কাছে জানানো হয়েছে।’’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালও শুক্রবার দিল্লিতে একটি নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘‘হিন্দুদের ওপর হামলা এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হুমকি ও সহিংসতা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এই ধরনের ঘটনা সম্পর্কে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘চরমপন্থী বক্তব্য ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।’’
গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে জাতীয় পতাকার ওপর গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের অভিযোগে হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের হয়। সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা।
পরবর্তী দিন চট্টগ্রামের আদালতে মামলার শুনানি ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে আন্দোলনকারীদের হামলায় একজন আইনজীবী নিহত হন।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তার এবং সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।