শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তি চেয়ে ভারতের বিবৃতি বাংলাদেশবিরোধী কার্যক্রমের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র চলছে। একটি বিতর্কিত ব্যক্তির গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে দেশে ও দেশের বাইরে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। দেশের মানুষ বিস্মিত।”
তিনি আরও বলেন, “চিন্ময় একজন বহিষ্কৃত নেতা, যার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্যই তাকে সংগঠন থেকে অপসারণ করা হয়েছে। অথচ তার মুক্তির জন্য ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এটি সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উলম্ব অভিযান।”
রিজভী বলেন, “বাংলাদেশ তার নিজস্ব মেরুদণ্ডের ওপর দাঁড়াক, তা ভারত কখনো চায়নি। শেখ হাসিনার পতন মেনে নিতে না পেরে তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চক্রান্ত করছে। চিন্ময়ের মুক্তি দাবি সেই চক্রান্তেরই অংশ।”
তিনি অভিযোগ করেন, “ইসকনের সাম্প্রতিক তৎপরতা উদ্বেগজনক। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাসহ একাধিক ঘটনায় তারা জড়িত। অথচ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্ময়ের মুক্তি দাবি করছে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”
রিজভী বলেন, “বিশ্বজিৎ হত্যার সময় ছাত্রলীগের খুনিদের বিরুদ্ধে ভারত প্রতিবাদ করেনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নিপুণ রায় চৌধুরীর ওপর হামলার সময়ও কোনো বিবৃতি আসেনি। তাহলে এখন কেন একটি বিতর্কিত সংগঠনের নেতার জন্য উদ্বেগ?”
রিজভীর বক্তব্যে উঠে আসে, “ভারতের বিবৃতি ও ইসকনের তৎপরতা মিলে বাংলাদেশের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত।”
রিজভীর এসব বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার গুরুত্ব এবং পার্শ্ববর্তী দেশের ভূমিকার প্রতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।