নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:

আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর, অর্থাৎ গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড বিষয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশ সম্পর্কিত সঠিক তথ্য উপস্থাপনের জন্য সারাহ কুককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, “ভারতের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন আগামী ১০ ডিসেম্বর হতে পারে, তবে একদিন আগে এগিয়ে আনার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা চাই দুদেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় থাকুক, তবে সেটা পারস্পরিক হতে হবে।”

এর আগে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় আসতে পারেন। এটি ড. ইউনূস সরকারের ক্ষমতাগ্রহণের পর কোনো শীর্ষ ভারতীয় কর্মকর্তার প্রথম বাংলাদেশ সফর হতে চলেছে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। সেই থেকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ভারতের গণমাধ্যমগুলো অতিরঞ্জিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বারবার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সম্প্রতি জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর উত্তেজনা আরও বাড়ে। চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার প্রতিবাদে তার অনুসারীরা সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে পিটিয়ে হত্যা করে।

এ ঘটনার পর, ২ ডিসেম্বর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন কার্যালয়ে হিন্দুত্ববাদী একটি সংগঠনের হামলা হয়। বাংলাদেশ এ ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।