শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
মুক্তি পেয়েছে কবি ও গীতিকার এনামূল হক পলাশের নতুন গান ‘চাকা’ মোহনগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ আগামী নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে: মাওলানা এনামুল হক নেত্রকোণায় কলেজ শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, মানববন্ধনে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি নেত্রকোণায় জমি নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষ : নিহত ২ মোহনগঞ্জ হাসপাতালের বদলীকৃত দুই ডাক্তার কোয়ার্টারের ভাড়া না দিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে নেত্রকোণা বিএনপির নতুন কমিটির কার্যক্রম শুরু নেত্রকোণায় ১১ বছর পর জেলা বিএনপির সম্মেলন, সভাপতি আনোয়ারুল-সম্পাদক রফিকুল দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোণা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন নেত্রকোণায় পৌর বিএনপি নেতা মুঘল আজম ৯ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি
ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা মামলা

ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যা মামলা

ফাইল ফটো

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোণার আলো ডটকম:

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় সাদ অনুসারীদের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। টঙ্গী পশ্চিম থানায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে এস এম আলম হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান।

ওসি জানান, ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী এস এম আলম হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলা সদর থানার গাইটাল গ্রামের মৃত এস এম মোক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি জুবায়ের অনুসারীর কিশোরগঞ্জ জেলার আলমী শুরার সাথী।

মামলায় আসামিরা হলেন- ঢাকার ধানমন্ডি থানার আবাসিক এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খুলনার বাটিয়াঘাটা উপজেলার বড় কড়িয়া গ্রামের মনসুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ মনসুর, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামের ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, একই এলাকার ড. কাজী এরতেজা হাসান, উত্তরা এলাকার মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে মোয়াজ বিন নূর, সাভার থানা এলাকার জিয়া বিন কাশেম, তুরাগ থানা (বেলাল মসজিদ) এলাকার আজিমুদ্দিন, সাভার থানার সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ, মুগদা থানা (বড় মসজিদ) এলাকার শফিউল্লাহ, কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজরা এলাকার মৃত মাওলানা মোজাম্মেলুল হকের ছেলে আনাস, মোহাম্মদপুর থানা এলাকার আব্দুল্লাহ শাকিল, রমনা থানার কাকরাইল এলাকার রেজা আরিফ, উত্তরা পশ্চিম থানার (সেক্টর-৯) আব্দুল হান্নান, একই থানার (সেক্টর-১১) রেজাউল করিম তরফদার, তুরাগ থানার (বেলাল মসজিদ) এলাকার মুনির বিন ইউসুফ, ঢাকার সায়েম, হাজী বশির সিকদার, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মনির হোসেন, মীরপুর থানা এলাকার প্রকৌশলী মুহিবুল্লাহ, ঢাকার পল্লবী থানা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে আতাউর রহমান, এলিফ্যান্ট এলাকার তানভীর, তুরাগ থানার ভাটুলিয়া এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন, একই থানা এলাকার প্রকৌশলী আবুল বশর, প্রকৌশলী রেজনুর রহমান, উত্তরা থানার (সেক্টর-১০) মৃত ফজলুল হক সিকদারের ছেলে নাসির উদ্দিন সিকদার, ড. আব্দুস সালাম, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওয়াসি উদ্দিন, রাজধানীর মীরপুর থানা এলাকার মিজান, তুরাগ থানার (বেলাল মসজিদ) এলাকার শাহাদাতসহ কয়েকশত জনকে আসামী করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিরা মাওলানা সা’দ কান্ধলাভীর অনুসারী। গত ৪ ও ৭ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় বাধা প্রদানের উদ্দেশ্যে ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করে। তারা সরকারকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে সরকারি সিদ্ধান্ত বহির্ভূত আগামী ২০-২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী ময়দানে সা’দ পন্থি পুরানোদের জোড় করার মর্মে ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রপাগান্ডা করতে থাকে। মামলার প্রধান আসামি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম তার সাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে সারা দেশের সা’দ পন্থিদেরকে জানায় আগামী ২০-২৪ ডিসেম্বর টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানেই পুরানোদের জোড় হবে। ওই চিঠিতে পুরানো সাথীদের সাথে মোনাসেব সাথীদেরও নিয়ে আসে এবং তাদের সাথে যেন টর্চ লাইট এবং হ্যান্ড মাইক থাকে।

মামলার ২ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহ মনসুর ফেসবুক লাইভে ঘোষণা দেন পুরানোদের জোড়ে এবং বিশ্ব ইজতেমায় যদি মাওলানা সা’দ সাহেবকে আনতে দেওয়া না হয় এবং তাদেরকে যদি টঙ্গী ময়দানে ২০-২৪ ডিসেম্বর জোড় করতে দেওয়া না হয় তাহলে তারা সরকারের সিদ্ধান্ত মতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব হতে দিবে না।

তাদের এসব উস্কানিমূলক বক্তব্য বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঘুমন্ত ও পাহারারত আলমী শুরা সাথীদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দু গ্রামের মৃত ওসমান গণির ছেলে আমিনুল ইসলাম বাচ্চু (৬৫), ফরিদপুর সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মৃত শেখ সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়া সদর উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামের ওমর উদ্দিনের ছেলে তাজুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।

( নেত্রকোণার আলো ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। )

Comments are closed.




© All rights reserved © 2024 www.netrakon-r-alo.com