বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ২৪ নভেম্বর ইসলামাবাদে চূড়ান্ত বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। তাদের দাবি, ইমরান খানের মুক্তি, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং জনগণের বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
পিটিআই দেশজুড়ে থেকে হাজার হাজার কর্মী এবং সমর্থক নিয়ে ইসলামাবাদে সমবেত হওয়ার পরিকল্পনা করেছে। দলটি প্রতিটি প্রদেশ থেকে আলাদা রুট চিহ্নিত করেছে এবং ইসলামাবাদে পৌঁছানোর জন্য কৌশল চূড়ান্ত করেছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ভিডিও ধারণ এবং বার্তা দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলেছে।
কারাবন্দি অবস্থায় ইমরান খান এই আন্দোলনকে ‘দেশের ভবিষ্যতের লড়াই’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটি শুধু পিটিআইয়ের নয়, বরং পুরো পাকিস্তানের মানুষের বাক স্বাধীনতার লড়াই।”
ইমরান খান আরও অভিযোগ করেন, সরকার তার সমর্থকদের দমন করার জন্য জাতীয় নিরাপত্তার ছদ্মবেশে রাজনৈতিক কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। ইন্টারনেট বন্ধ ও ভিপিএনের ব্যবহার সীমিত করার মাধ্যমে জনগণের যোগাযোগের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন এই আন্দোলনকে শুধুমাত্র ইমরান খানের মুক্তির লড়াই হিসেবে নয়, বরং দেশের ভবিষ্যতের লড়াই হিসেবে দেখতে।
একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডে তিনি দলীয় কর্মীদের বলেছেন: বিক্ষোভের সময় অংশগ্রহণকারীদের ভিডিও ধারণ করে প্রচার করতে। বিক্ষোভে সাধারণ জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকলে বিকল্প যোগাযোগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে।
তিনি কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন, আহত হলে তাদের চিকিৎসা এবং পরিবারের সহায়তা দল থেকে নিশ্চিত করা হবে।
পাকিস্তান সরকার ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে, যা পাঁচ বা তার বেশি জনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে।
ইসলামাবাদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উসমান আশরাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পিটিআই নেতা ইমরান খান এই দিনটিকে দলের ‘অগ্নিপরীক্ষা’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, এটি হবে সিদ্ধান্তের দিন, যা নির্ধারণ করবে দলের ভবিষ্যৎ।
সব মিলিয়ে, ২৪ নভেম্বরের কর্মসূচিকে ঘিরে পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা চরমে পৌঁছেছে। ইসলামাবাদে সরকার ও পিটিআইয়ের এই মুখোমুখি অবস্থান দেশজুড়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।