রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো:
নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষক প্রতিনিধিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত এক সংলাপে এ ঐক্যমত্যের কথা উঠে আসে। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং ‘না ভোটের’ বিধান সংযোজনের বিষয়ে একমত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আগের নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত, কলঙ্কজনক এবং পাতানো নির্বাচন করে শপথ ভঙ্গ ও সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এ ধরনের কার্যক্রমের জন্য তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি তুলেছেন অংশগ্রহণকারীরা।”
নির্বাচন কমিশনকে আরও স্বাধীন ও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়ে বদিউল আলম বলেন, “কমিশনকে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হতে হবে, যাতে এটি কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে। এমনকি এটি সরকারের অধীনে একটি স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করতে সক্ষম হতে হবে।”
সংলাপে নারীদের জন্য জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত আসনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও আলোচনা হয়। বদিউল আলম বলেন, “প্রত্যক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে নারীদের জন্য আসন সংরক্ষণের দাবি করেছেন অনেকে।”
সংলাপে নির্বাচন কমিশনের আইন সংশোধন, পিআর সিস্টেম প্রবর্তন এবং নির্বাচন ব্যবস্থার আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রপতির নির্বাচন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “অনেকেই রাষ্ট্রপতির পদে সরাসরি নির্বাচন এবং পদটিকে আরও শক্তিশালী করার প্রস্তাব করেছেন।”
এই সংলাপ নির্বাচন ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।