বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বর্তমানে কয়েকজন বিচারপতির আচরণ (কনডাক্ট) বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে এবং এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের মূল সংবিধান অনুযায়ী উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল। ১৯৭৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে অর্পণ করা হয়। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এ ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলকে দেওয়া হয়।
২০১৪ সালে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা পুনরায় সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, ২০১৬ সালে হাইকোর্ট এ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।
হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনরায় কার্যকর হয়। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচারকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলে তা তদন্তের জন্য প্রধান বিচারপতি এবং দুইজন প্রবীণ বিচারকের সমন্বয়ে এই কাউন্সিল গঠন করা হয়।
কোনো বিচারক গুরুতর অসদাচরণ বা শারীরিক ও মানসিক অসামর্থ্যের অভিযোগে অভিযুক্ত হলে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল বিষয়টি তদন্ত করে এবং তদন্ত ফল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায়। প্রয়োজনীয় হলে রাষ্ট্রপতি ওই বিচারককে অপসারণ করতে পারেন।
এক সময় অন্তত ১৫ জন বিচারপতিকে বিচার কার্য থেকে বিরত রাখা হয়েছিল, যাদের মধ্যে তিনজন পদত্যাগ করেছেন। বর্তমানে কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে চলমান প্রাথমিক অনুসন্ধানের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে।
এ প্রক্রিয়া সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে, যা বিচারকদের আচরণ নির্ধারণ এবং অপরাধ তদন্তের কাঠামো প্রদান করে।