বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
ইরান জাতিসংঘে ঘোষণা দিয়েছে যে, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে তারা আইনি ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হবে। তেহরানের দাবি, এই উদ্যোগ কোনো গোপন পরিকল্পনা নয় বরং আন্তর্জাতিক আইনের নীতিমালার ভিত্তিতে পরিচালিত হবে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল সোলেইমানিকে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ড্রোন হামলায় হত্যা করা হয়। ইরান ও ইরাক উভয় দেশই বারবার এই হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে তাদের বৈধ অধিকারের কথা বলেছে।
সম্প্রতি মার্কিন বিচার বিভাগে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, ইরানের দুই ব্যক্তি ট্রাম্পকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। এর মধ্যে ফরহাদ শাকেরি নামের একজন জানিয়েছেন, তিনি ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) হয়ে ট্রাম্পকে পর্যবেক্ষণ এবং হত্যার দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও “তৃতীয় শ্রেণির নাটক” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইরান ইতোমধ্যে মার্কিন প্রশাসনকে লিখিতভাবে আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পকে হত্যার কোনো পরিকল্পনা নেই।
তবে তেহরান তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে যে, সোলেইমানি হত্যার বিচারের জন্য তারা আন্তর্জাতিক আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করবে। সোলেইমানি হত্যার পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে ন্যায়ের প্রতিফলন ঘটানো হবে বলে ইরান অঙ্গীকার করেছে।
তবে এখনো এই আইনি লড়াইয়ের কোনো কার্যকর প্রক্রিয়া বা অগ্রগতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তেহরানের অবস্থান স্পষ্ট—তারা আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সোলেইমানি হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।