বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন
নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:
প্রতিবছর পাঠ্যবই ছাপানোর সময় কিছু না কিছু ভুল-ভ্রান্তি দেখা যায়। তবে, নতুন পাঠ্যপুস্তকে ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেন, “নির্ভুল পাঠ্যবই বের করার চেষ্টা করছে সরকার। জানুয়ারিতেই আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পারবো।”
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় আরও বলেন, “আমি এখানে এসে আবেগে আপ্লুত। ১৯৭৯ সালে এই বিদ্যাপীঠ থেকেই এসএসসি পাস করেছি। এখানে কাঠের স্ট্রাকচারের ওপরে শ্রেণিকক্ষ ছিল। এর নিচ দিয়ে বন্যার পানি যেত। এখানকার স্কুল ম্যাগাজিন থেকে আমি লেখালেখিতে আগ্রহী হয়েছিলাম।”
লেখাপড়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত কারিকুলামে শিক্ষার্থীদের অভ্যস্ত ও আগ্রহী করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সরকারি জুবিলীর মাঠকে পরিচ্ছন্ন এবং সবসময় খেলাধুলার উপযোগী করে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত। ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মানসম্মত পড়ালেখার সুযোগ পাবে।”
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) বিরোধা রানী রায়, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এনামুল হাসান শাহীন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ও স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।