রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
নেত্রকোণার পূর্বধলায় হেলমেট ও মাক্স পড়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল হয়েছে।
এতে সংগঠনটির কয়েকজন কর্মী অংশ নেন। পরে পুলিশ মিছিলের ভিডিও দেখে সনাক্তের পর ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করে।
আটকেরা হলেন, উপজেলার ডুবারুহি গ্রামের লিটন খন্দকারের ছেলে সাগর খন্দকার (২৫)। বালুচরা গ্রামের আবুল কাশেম তালুকদারের ছেলে আতিক হাসান (৩২) ওরফে আল-আমিন। ছোট ইলাছপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইয়াহিয়া তালুকদার (২১)। একই গ্রামের মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে আরমান চৌধুরী (১৯)। মো. তাজউদ্দীনের ছেলে মোস্তাকিন (১৯)। পূর্বধলা নয়াপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল দত্তের ছেলে দীপ্ত দত্ত (২০)। তাদের বাড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর নাগাদ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে শনিবার সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর সড়কের বালুচরা এলাকায় মিছিলটি বের করা হয়। পরে পুর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে মিছিলটির ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়।
পরে রাতে মিছিলের এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে আটক করে৷
শাহাদত হোসাইন নেত্রকোণা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের বড় ভাইয়ের ছেলে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলায় এই প্রথম কোন মিছিল করেছে ছাত্রলীগ।
রবিবার দুপুরে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা ও আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের এই মিছিলে শাহাদত হোসাইন নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। তার পেছনে প্রায় ১৫-২০ জনের মতো নেতাকর্মীও স্লোগান দিচ্ছেন।
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বধলা থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান, একদম ভোরে সবাই যখন ঘুমে তখন ময়মনসিংহ থেকে এসে দুই-তিন মিনিট মিছিল করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। বিকালের দিকে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকিদের ধরতে পুলিশের াভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।