বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
দেশে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে। এ কারণে আগামী দু’দিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিভাগের মুহরী, ফেনী ও গোমতী নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে।
আবহাওয়া সংস্থাসমূহের তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে এবং আগামী দুই দিন উপকূলীয় অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এই সময় বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এছাড়া, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিন পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী তিন দিন পর্যন্ত এসকল নদীসমূহের পানি সমতল ধীর গতিতে হ্রাস পেতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে এবং অন্যান্য প্রধান নদীসমূহ-মনু, খোয়াই, সারিগোয়াইন, ধলাই ইত্যাদির পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী তিন দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।