বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
নিজেস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম :
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি কমিটি গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার, শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য মতিউর রহমান জানান, “সরকার আমাদের দাবি পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে এবং কমিটি দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবে। আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করছি।”
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে কয়েকদিন ধরে চলা আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একাধিকবার সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে। সোমবার মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবরোধ চলাকালে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় ট্রেনের একাধিক যাত্রী আহত হন। শিক্ষার্থীরা এই ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং দায় রেল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেছে, আন্দোলনের সময় রেল চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রশাসন ও রেল কর্তৃপক্ষকে পূর্বে জানানো হলেও উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহাখালী রেলক্রসিং অতিক্রম করার চেষ্টা করে। ট্রেন চালকের অসতর্কতায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সরকার শিক্ষার্থীদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হবে, যা কলেজের প্রয়োজনীয়তা, সুযোগ-সুবিধা ও কাঠামো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, দাবি পূরণের ব্যাপারে ইতিবাচক অগ্রগতি না হলে আন্দোলন আবারও শুরু হবে। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এহতেশাম নোমান বলেন, “আমরা সরকার থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে আবারও ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী’ কর্মসূচি চালু করব।”
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এডিসি তারিক হোসেন খান বলেন, “আমরা চাই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করুক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিঘ্নিত না হয়।”
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সরকারের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের বিষয়ে আশাবাদী। তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, যৌক্তিক সমাধান না এলে আন্দোলন আবারও শুরু হবে।