বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনার পর রাতভর গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল (৩০)। জুনান চাকমা ও রুবেলের বাড়ি খাগড়াছড়ি সদরে এবং ধনঞ্জয় চাকমার বাড়ি দীঘিনালায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা।
নিহতদের মরদেহ খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে এবং বাকিরা একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, “তিনজন নিহত হয়েছে এবং গুরুতর আহত ৫ জনকে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলা শহরের নারানখাইয়া ও স্বনির্ভর এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়, যা পুরো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। রাত ১২টার দিকে ১২ জনকে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়।
তবে কারা এই গোলাগুলির সাথে জড়িত, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোলাগুলির একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে বিকেলে দীঘিনালায় দুই পক্ষের বিরোধের জেরে লারমা স্কয়ারের বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে, যেখানে ৬০টির বেশি দোকান পুড়ে যায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং এলাকার শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।