বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
ডিমের কারণে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ভয়ে অনেকেই ডিম খেতে দ্বিধাবোধ করেন। তবে এই প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হার্ভার্ডের মেডিকেল শিক্ষার্থী নিক নরউইটজ নিজের শরীরে এক মাসের একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখিয়েছেন উল্টো ফল।
নিজের এই পরীক্ষা চালাতে নিক এক মাসে ৭০০ থেকে ৭২০টি ডিম খেয়েছেন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২৪টি করে ডিম খাওয়া এই শিক্ষার্থীর লক্ষ্য ছিল লাগামছাড়া ডিম খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরল কতটা বেড়ে যেতে পারে, তা দেখার। কিন্তু ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
ইউটিউব চ্যানেলে নিজের এই পরীক্ষার কথা জানিয়ে নিক উল্লেখ করেছেন, ডিম খাওয়ার ফলে তার কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার পরিবর্তে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) ২০ শতাংশ কমে যায়। প্রথম সপ্তাহে এটি ২ শতাংশ কমে এবং পরবর্তী তিন সপ্তাহে আরও ১৮ শতাংশ কমে।
নিকের এই ডায়েটে ডিম ছাড়াও ছিল পর্যাপ্ত পরিমাণে তাজা ফল, বিশেষ করে ব্লুবেরি, কলা এবং স্ট্রবেরি। তার মতে, অতিরিক্ত কার্বস ও ডায়েটরি কোলেস্টেরল মিলিয়ে এই কোলেস্টেরল কমার প্রবণতা দেখা গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডায়েটরি কোলেস্টেরল শরীরে চোলেজন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে লিভারে একটি বিশেষ গ্রহীতার সঙ্গে মিলে ভালো ও খারাপ কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হয়। এছাড়াও, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি সপ্তাহে ১২টি ডিম খান, তবে তাদের রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি না থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে না। বরং ভালো কোলেস্টেরল (এইচএলডি) উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
নিক নরউইটজের এই অভিজ্ঞতা প্রচলিত ধ্যানধারণাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে, বিশেষ করে যারা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকেন কোলেস্টেরলের ভয়ে।