শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন

স্মার্টফোন ব্যবহারে পাকিস্তান-কেনিয়ার থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ

স্মার্টফোন ব্যবহারে পাকিস্তান-কেনিয়ার থেকে পিছিয়ে বাংলাদেশ

নেত্রকোণার আলো ডটকম ডেস্ক:

বাংলাদেশে প্রযুক্তিখাতে পিছিয়ে থাকার বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে। এতে দেখা গেছে, স্মার্টফোন ব্যবহারে বাংলাদেশ পাকিস্তান ও কেনিয়ার চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে।

প্রতিবেদনের মূল তথ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের হার: শহরে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী বাংলাদেশে ৪১%, যা উগান্ডা ও ইথিওপিয়ার সমান। গ্রামে এই হার ২৬%, যা আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

স্মার্টফোন ব্যবহারে অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থা: পাকিস্তানে শহরে ৪৬% এবং গ্রামে ৩৬% মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। মেক্সিকো শহরে ৭১% এবং গ্রামে ৬১% মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, যা শীর্ষে। ভারতের শহরে ৫২% এবং গ্রামে ৪০% মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার আরও কম। দেশটির চেয়ে শুধু ইথিওপিয়া পিছিয়ে রয়েছে।

পিছিয়ে থাকার কারণ অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা: স্মার্টফোনের উচ্চ মূল্য এবং কিস্তিতে কেনার সুবিধা না থাকা বড় বাধা। অনেক মানুষ একসঙ্গে স্মার্টফোন কেনার খরচ জোগাড় করতে পারেন না।

গ্রামাঞ্চলে প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ কম এবং সেবার মানও তুলনামূলক দুর্বল। ইন্টারনেট সংযোগের সীমাবদ্ধতা। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ প্যাকেজ বা অনুদানের অভাব। সরকার বা বেসরকারি উদ্যোগের সীমাবদ্ধতা।

মোবাইলফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন উল্লেখ করেছেন যে, স্মার্টফোন ব্যবহারে উন্নতির জন্য প্রয়োজন নীতিগত পরিবর্তন এবং সাশ্রয়ী প্যাকেজের ব্যবস্থা।

সরকার যদি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর জন্য সাশ্রয়ী প্যাকেজ, কিস্তিতে ফোন কেনার সুবিধা, এবং গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগ জোরদার করে, তাহলে বাংলাদেশ এই প্রযুক্তি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারে।

( নেত্রকোণার আলো ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। )

Comments are closed.




© All rights reserved © 2024 www.netrakon-r-alo.com