শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
চেক প্রতারণার মামলায় কিংবদন্তি টাইগার ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা আদেশ জারি করা হয়।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে সাকিবসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা দেন। সেদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন। রোববার হাজির না হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারি আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। চেকের টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ ছিল প্রায় চার কোটি পনেরো লাখ।
পরে টাকা পরিশোধ করার জন্য সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডকে আইনি নোটিশ পাঠায় আইএফআইসি ব্যাংক। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় ১৫ ডিসেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের মালিক সাকিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আদালতের পেশকার আতিকুর রহমান গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আজ মামলার আসামি ইমদাদুল হক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।’
‘অপর আসামি মালাইকা বেগম মারা যাওয়ায় তার মৃত্যু প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। এছাড়া সাকিব আল হাসান ও গাজী শাহাগীর হোসাইন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বিচারক আগামী ২৪ মার্চ দিন ঠিক করে দিয়েছেন, জানিয়েছেন পেশকার আতিকুর। সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের কার্যক্রম মূলত সাতক্ষীরায়। সাকিব প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একটি হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত আসামী করা হয় টাইগার তারকাকে। তার আগে থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন সাকিব। সরকার পতন ও মামলা দায়েরের পর আর দেশে ফেরেননি।
দেশের বাইরে থেকে সাকিব ভারতে এসে বাংলাদেশ জার্সিতে টেস্ট সিরিজ খেলে গেছেন। সেখানে ঘোষণা দেন ঘরের মাঠে খেলে টেস্ট অবসরের। জানান দেশের মাটিতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে খেলে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের ইচ্ছার কথা। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে অবশ্য শেষঅবধি দেশেই আসতে পারেননি টাইগার অলরাউন্ডার। তার টেস্ট ক্যারিয়ারও আটকে আছে সেখানেই। ভারত সফরের পর থেকে লাল-সবুজ জার্সিতেই ডাক পড়েনি সাকিবের।