বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
অবৈধ অভিবাসন রোধে নেওয়া কঠোর নীতির অংশ হিসেবে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করে অভিবাসী ফেরানোর কার্যক্রম বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উচ্চ খরচের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
গত ১ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেষ সামরিক উড়োজাহাজে অভিবাসী ফেরানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পরপরই অভিবাসীদের নিজ দেশে বা গুয়ান্তানামো বে সামরিক ঘাঁটিতে পাঠাতে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার শুরু করে। তবে এতে ব্যয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
ফ্লাইট-ট্র্যাকিং তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন সি-১৭ ও সি-১৩০ সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করে প্রায় ৩০টি অভিবাসী ফেরত পাঠানোর ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এর মধ্যে ভারত, পেরু, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানামা, ইকুয়েডর ও গুয়ান্তানামো বে ছিল প্রধান গন্তব্য।
তবে এসব ফ্লাইটে কমসংখ্যক অভিবাসী বহন করা হলেও ব্যয় ছিল অত্যন্ত বেশি। ভারতে তিনটি নির্বাসন ফ্লাইট পরিচালনার প্রতিটির খরচ হয়েছিল ৩ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া গুয়ান্তানামো বেতে পাঠানো প্রতিজন অভিবাসীর খরচ ছিল কমপক্ষে ২০ হাজার ডলার।
ঐতিহ্যগতভাবে, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের, যা বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করে থাকে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর বার্তা পাঠাতে সামরিক উড়োজাহাজ ব্যবহার করেছিল, যা শেষ পর্যন্ত ব্যয়ের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হলো।