বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক, নেত্রকোণার আলো ডটকম:
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে পাঠানো হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থরা হলেন, উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের ফারুখ মিয়া(৩৫),কামরুন নাহার (৩০),রাবিয়া বেগম (৬০),হুসনে আরা(৬৫) মুজাহিদ (৯),ইকরা (৭) ও ইলমা (৩)। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য।
অসুস্থদের স্বজনেরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনেন ফারুখ মিয়া। আজ শুক্রবার সকালে সবাই একইসাথে খালি পেটে ওই ওষুধ খান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা সবাই একে একে অজ্ঞান হতে থাকে। এসময় বাড়ির লোকজন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে যান সেখানে। পরে তারা অসুস্থ সবাইকে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
অসুস্থদের স্বজন হনুফা আক্তার বলেন,কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়েই সবার এই অবস্থা। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে সবাইকে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান,গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খায়। এর ফলে একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে শিশুদের অবস্থার বেশি অবনতি হয়েছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ৭ জনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।