রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ভোট দেওয়ার অধিকার চান প্রবাসীরা

ভোট দেওয়ার অধিকার চান প্রবাসীরা

ভোট দেওয়ার দাবি জানিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে প্রবাসী অধিকার আন্দোলনের নেতারা। তারা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত, মালদ্বীপ, ভুটানসহ এশিয়ার প্রায় ২০টি দেশ তাদের প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের প্রবাসীদের জন্য এই ব্যবস্থা করতে হবে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে। এই আন্দোলন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে আন্দোলনে শরিক হন।

প্রবাসী অধিকার আন্দোলনের নেতারা আরও বলেন, বিদেশ থেকে জুলাই মাসজুড়ে এবং আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ করে দেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যায়। বিশাল আর্থিক সংকটে পড়ে সরকার। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতনে প্রবাসীদেরও অনেক অবদান রয়েছে। তাই বাংলাদেশ নামক ‘রাষ্ট্র সংস্কারে’ প্রবাসীদের ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সময় এসেছে তাদের ভোটের অধিকার সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে বাংলাদেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটার কর্মসূত্রে বিদেশে অবস্থান করছেন, যা মোট ভোটারের শতকরা ১৩ শতাংশ।

প্রবাসে ভোট দেওয়ার অধিকারের দাবিগুলো হলো-

১. বাংলাদেশের অ্যাম্বাসি/কনস্যুলেট অফিসে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

২. দেশের অর্থনীতিতে যেহেতু প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে সে কারণে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে কারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হবেন সে ব্যাপারে প্রবাসীদের মতামত নিতে হবে।

৩. আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়াতে জাতীয় নির্বাচনের আগের দিন এবং যেসব দেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য কম সেসব দেশে একই দিনে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। এশিয়ার দেশগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে সময়ের পার্থক্য খুব বেশি না, তাই এই সব দেশগুলোতে একইদিন ভোট হতে পারে।

৪. নির্বাচনের দিন ‘পোলিং বুথ’ স্থাপন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস অফিসে।

৫. ভোট দেওয়ার পর দূতাবাস অফিসে সবার সামনে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ভোটগণনা করতে হবে। ভোটের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন প্রিসাইডিং, পোলিং ও রিটার্নিং অফিসার।

( নেত্রকোণার আলো ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। )

Comments are closed.




© All rights reserved © 2024 www.netrakon-r-alo.com