বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ অপরাহ্ন

মোহনগঞ্জে অকেজো স্লুইচ গেট: সাত গ্রামের কৃষকের দু:খ

মোহনগঞ্জে অকেজো স্লুইচ গেট: সাত গ্রামের কৃষকের দু:খ

আবুল কাসেম আজাদ , নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ থেকে:
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ চর হাইজদা বেড়িবাঁধ প্রকল্পের আওতায় বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নের পানুর গ্রামে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্লুইচ গেটটি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
আবাদি জমিতে পানির ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক সময়ে পানি অপসারণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ১৯৮৫-৮৬ অর্থবছরে এই স্লুইচ গেটটি নির্মাণ করে।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, এই স্লুইচ গেটের জল কপাট ও হাতল হ্যান্ডেল নেই, ফলে এর কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ। খিদিরপুর, খিলা, সোনারামপুর, পানুর, বামুন্দী, সমাজ ও পাবইপাড়া গ্রামের কৃষকদের আবাদি জমির পানির চাহিদা মেটাতে এটি কোনো কাজে আসছে না। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে বারবার অভিযোগ তুললেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সোনারামপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল রহমান বলেন, “ আমরার হাওরের জমি সময়মতো চাষ করতে এই স্লুইচগেটটি কোনই কাজে আইতাছেনা। গেইট করল এতোতা ট্যাহা খরচ কইর‌্যা কিন্তু অকেজো কইর‌্যা ফালাইয়া রাখছে। যদি এইডা ঠিকঠাক কইর‌্যা চালাইতেই না পারে তাইলে সরকারে এইডা করল কেন। সরকারি কর্মকর্তারা হাওরে আয়েনা। আইয়া দেখলে বুঝতো।”
একই ধরণের কথা বললেন, পানুর গ্রামের মনির উদ্দিন ও বামুন্দী গ্রামের আয়েন উদ্দিন।
মনির উদ্দিন বলেন, “ সরকারের কোটি কোটি ট্যাহা অপচয় হইতাছে। এর চেয়েও বড় কথা কোটি কোটি ট্যাহার ফসল উৎপাদনে ব্যাঘাত অইতাছে। ”
বামুন্দী গ্রামের আয়েন উদ্দিন বলেন, “ গেইটটা তাড়াতাড়ি ঠিকঠাক করুক এইডা আমরা চাই।”
পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আঃ মন্নাফ জানান, “আমরা শুধু নামেই কমিটি। স্লুইচ গেটে জল কপাট না থাকায় এটি পুরোপুরি অকেজো।”
এ বিষয়ে নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান বলেন, “স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে কিনা, তা জানা নেই, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিচ্ছি।”

 

( নেত্রকোণার আলো ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। )

Comments are closed.




© All rights reserved © 2024 www.netrakon-r-alo.com